ভারতের বন থেকে ভেসে এলো কাঠের পাহাড়: কুড়িগ্রামের কালজানি নদীতে তোলপাড়, স্থানীয়রা ব্যস্ত গাছ সংগ্রহে

INFO TODAY বাংলা


মোঃ সোলায়মান গনি

কুড়িগ্রাম: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের অভ্যন্তর থেকে কালজানি নদী হয়ে ভেসে আসছে হাজার হাজার গাছের গুঁড়ি। ধারণা করা হচ্ছে, ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে ভারতের বনাঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক গাছ উপড়ে এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে।

রবিবার (৫ অক্টোবর, ২০২৫) বিকেল থেকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ঢলডাঙা ও শালঝোড় এলাকায় কালজানি নদীর পাড়ে ভেসে আসা এই কাঠ সংগ্রহে স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ নৌকা, কেউ বাঁশের সাঁকো আবার কেউবা সাঁতার কেটে নদীর স্রোত থেকে এই গাছগুলো তীরে তুলছেন।

স্থানীয়দের মতে, ভেসে আসা গাছগুলোর অধিকাংশই কাটা অবস্থায় রয়েছে, তবে কিছু গাছ শেকড়সহ উপড়ে এসেছে। তাদের ধারণা, তীব্র স্রোতের কারণেই বনাঞ্চলের গাছ উপড়ে নদীতে ভেসে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই কাঠগুলো ভুটান সীমান্তবর্তী ভারতের জয়গা এলাকা হয়ে হাসিমারা ফরেস্ট থেকে ভেসে আসতে পারে। ভারতের কোচবিহার জেলার স্থানীয়দের দাবি, উজানে প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে হাসিমারা বনাঞ্চলে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়, যার ফলে বিপুল সংখ্যক গাছ নদীতে ভেসে যায়। কালজানি নদী ভুটান ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পথে একাধিক বনাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় গাছের গুঁড়িগুলো স্রোতের টানে কুড়িগ্রামে এসে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত। স্থানীয় মনিরুজ্জামান বলেন, "নদীতে শুধু গাছ আর গাছ। মাঝে মাঝে মরা গরুও ভেসে আসছে। মনে হচ্ছে, যেন এক অলৌকিক ঘটনা।" আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইদ জানান, "বিকেল তিনটার দিক থেকে গাছগুলো আসছে। সবাই যে যেমন পারছে তুলছে। তবে নদীর পানি তেমন বাড়েনি, তাই বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।"

শিলখুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী বলেন, "শুধু গাছেই নদী ভরে গেছে। লোকজন নৌকা নিয়ে গাছ ধরছে। এত গাছ কোথা থেকে আসছে বোঝা যাচ্ছে না, তবে এটা নিশ্চিত, ভারত থেকেই আসছে।"

সত্যের সাথে, সময়ের সাথে – ইনফো টুডে বাংলা

সময়োপযোগী খবর ও তথ্যভিত্তিক আপডেট শেয়ার করার একটি নির্ভরযোগ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
To Top