ভালুকার মেদুয়ারী ইউনিয়নে জোকের ভয়াবহ উপদ্রব: গবাদি পশু ও কৃষিকাজে বিপর্যয়

INFO TODAY বাংলা

তথ্য: সোশ্যাল মিডিয়া । ভালুকা:

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায় জোকের ভয়াবহ উপদ্রবে গবাদি পশু ও কৃষিজীবী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন, ফলে কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়ন এবং এর আশেপাশের কয়েকটি ইউনিয়নে সম্প্রতি “জোক” নামক রক্তচোষা প্রাণীর ভয়াবহ উপদ্রব দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষক ও গ্রামীণ বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঠে, ধানক্ষেতে কিংবা খোলা জায়গায় গরু, ছাগল, মহিষ বেঁধে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রতিটি প্রাণীর নাক-মুখ ও শরীরে একসঙ্গে ১০ থেকে ১২টি জোক লেগে রক্ত চুষে নিচ্ছে। শুধু পশুপাখি নয়, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের শরীরেও এই জোক লেগে রক্ত শোষণ করছে। ফলে ধানক্ষেতে কাজ করা, কলা বা সবজি বাগানে যাওয়া পর্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের কেউ কেউ জানিয়েছেন, জোক অনেক সময় ভ্যাঙের শরীরে লেগে ঘর পর্যন্ত ঢুকে পড়ছে, যা বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন এবং কৃষি কাজ প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত “জোক নিধন কর্মসূচি” গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, এই রক্তচোষা প্রাণীর উপদ্রব না থামলে গবাদি পশু ও কৃষিজ উৎপাদন উভয়ই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে।

ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপ কামনা করে স্থানীয়রা বলেছেন, প্রশাসনের তাৎক্ষণিক উদ্যোগই পারে এই সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে।

আজ শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, সকাল পর্যন্ত এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়নি। তাই সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগের দাবি এখন জোরালো হয়ে উঠেছে।

সত্যের সাথে, সময়ের সাথে – ইনফো টুডে বাংলা

সময়োপযোগী খবর ও তথ্যভিত্তিক আপডেট শেয়ার করার একটি নির্ভরযোগ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
To Top