গফরগাঁও, ২৫ আগস্ট:
ময়মনসিংহের গফরগাঁও জেএম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ আগস্ট থেকে তিনি পলাতক থাকা সত্ত্বেও এই অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার অনুপস্থিতি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয়রা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং চাকরিচ্যুতির দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসা কমিটির সঙ্গে একটি গোপন চুক্তির মাধ্যমে তার বেতন-ভাতা উত্তোলন করা হয়েছে। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেতন-ভাতার ৫০% অধ্যক্ষের এবং বাকি ৫০% মাদ্রাসা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হবে। এই ঘটনাকে একটি গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া, গত ৪ আগস্ট গফরগাঁও বাজারে একটি সশস্ত্র মহড়ার ঘটনা ঘটে, যেখানে অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গফরগাঁওয়ের সাধারণ জনগণ ও মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে অধ্যক্ষ আতাউর রহমানকে তার সকল অনিয়মের জন্য আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং তাকে দ্রুত চাকরিচ্যুত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।