অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট | ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাকার্তা: ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পার্লামেন্ট ভবনের সামনে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় এবং চলমান গণঅসন্তোষের কারণে এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংস বিক্ষোভে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও এক হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হওয়ার পর আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
গত সপ্তাহের বিক্ষোভের মূল কারণ ছিল পুলিশি সহিংসতা, রাষ্ট্রীয় ব্যয় সংকোচন এবং আইনপ্রণেতাদের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি। পুলিশের গাড়ির চাপায় এক ট্যাক্সি চালকের মৃত্যুর ঘটনা আন্দোলনের আগুনে আরও ঘি ঢালে। এরপর দ্রুতই দেশজুড়ে লুটপাট ও ভাঙচুর ছড়িয়ে পড়ে। নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভ দমনে দেশব্যাপী অভিযানে তিন হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে বেম সি নামে পরিচিত শিক্ষার্থীদের একটি জোট জানিয়েছে, জনগণের মূল উদ্বেগ রাস্তায় বিক্ষোভ নয়, বরং ব্যাপক দুর্নীতি এবং আইনের রাজনৈতিকীকরণ। বুধবার অন্তত দশটি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশি সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক কষ্টের বিপরীতে সংসদ সদস্যদের বিলাসী জীবনযাত্রার বিষয়ে প্রতিবাদ জানায়।
পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার শিক্ষার্থীদের সরকারের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও বেম সি নেতা মুজাম্মিল ইহসান এই আমন্ত্রণকে গুরুত্বহীন বলে মন্তব্য করেন।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠন গেব্রাক-ও বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। তারা কর্তৃপক্ষের বলপ্রয়োগ নীতির নিন্দা এবং আটক ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার আলামত থাকার অভিযোগ করে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ 'মব ভায়োলেন্স' বা গণ সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে।