মোঃ মাজাহারুল ইসলাম | ময়মনসিংহ, ভালুকা | ৪ অক্টোবর ২০২৫(শনিবার)
আহত মোফাচ্ছেল বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী মোফাচ্ছেল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানবীর হাসান শান্ত ও রাফি উল্যাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে গ্রুপিং করার কারণে আমি তাদের বিরোধিতার শিকার হয়েছি। পূর্বে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগে শান্তর আহ্বায়ক পদ স্থগিত করা হলেও তার অপকর্ম বন্ধ হয়নি।
তিনি আরও জানান, “সম্প্রতি আমি একটি মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ায় শান্ত ও রাফি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এর আগেও তাদের লোকজন আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে মারার জন্য খুঁজে আসে। কয়েক দিন আগে শান্ত ও রাফি চৌধুরী ভরাডোবায় একটি ক্লাব উদ্বোধন করে আসে— সেই সময় থেকেই তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
মোফাচ্ছেল বলেন, “শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ভাগিনাকে সঙ্গে নিয়ে নিশিন্দা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে শান্তর নেতৃত্বে রহিম, আশিক, আনন্দ, ইয়াসিন, সোহানসহ আরও কয়েকজন আমাকে রাস্তা থেকে তুলে পাশের জঙ্গলে নিয়ে এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে। তারা আমার ভাগিনাকেও মারধর করে। ভাগিনার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত মোফাচ্ছেল হোসেন প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। আমি নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।
স্থানীয়দের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভালুকা অঞ্চলে ছাত্র রাজনীতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা মনে করছেন, এ ধরনের সহিংসতা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।